গানের জনপ্রিয়তা ভিউ দিয়ে মাপা যায় না
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সৈয়দ শহীদ বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন তার ব্যবসা নিয়ে। এর পাশাপাশি গান করছেন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? শহীদ উত্তরে বলেন, আমি খুব ভালো আছি। তবে, ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। আমাকে ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। তার পাশাপাশি গান করি।
ঈদে হয়তো কয়েকটি গান আসবে। তাই রেকর্ডিংও করছি। এইভাবেই সময় চলে যাচ্ছে। আপনার গাওয়া ‘এক জীবন’ দারুণ জনপ্রিয় জনপ্রিয় একটি গান। কিন্তু এ গানের পর থেকে আপনাকে সেভাবে নিয়মিত পাওয়া যায়নি। কেন? শহীদ বলেন, আসলে আমি কিন্তু পেশাগতভাবে গান-বাজনা করতে আসিনি। শখের বশে গান করি। তারপরও আমার গান হয়তো শ্রোতারা পছন্দ করে ফেলেছেন। গানের প্রতি আমার ভালোবাসা ও ডেডিকেশনটা ছিল। এটা যার থাকবে সেই সফল হবে বলে আমি মনে করি। অর্থ উপার্জন করবো এই ভেবে কখনো গান করিনি। ভালোবেসে গেয়েছি, সুর করেছি। আর ‘এক জীবন’ গানটিতে একটি টিমওয়ার্ক ছিল। আমি মনে করি গানটি মানুষ এতটাই পছন্দ করেছে যে, এটি এখন জনগণের গান হয়ে গেছে। আমাকে টিমের সবাই অনেক সহযোগিতা করেছে। সত্যি বলতে আমি এত বড় কোনো শিল্পী নই। মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি যা পেয়েছি সেটা পাওয়ারও হয়তো যোগ্য নই। আপনার ব্যান্ড দূরবীনের কী খবর? শহীদ উত্তরে বলেন,
দূরবীন চলছে নিজের মতো করে। আমরা অবসর পেলে শো করি। যেমন রমজানের আগের শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে শো করে এসেছি। আর সময় পেলেই প্র্যাকটিস চলে। নতুন গানের কী খবর? শহীদ বলেন, সম্প্রতি কাজী শুভর সুর ও সংগীতে একটি গান করেছি। লিখেছে রবিউল ইসলাম জীবন। বেশ ভালো হয়েছে গানটি। চলতি সময়ে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? শহীদ উত্তরে বলেন, আসলে একটি গান গীতিকার এক জায়গায় বসে লিখলো, সুরকার সেটা আরেকটা সময় সুর করলো। মিউজিক হলো তারপর। এরপর গাইলো শিল্পী। গান এখন এভাবেই হচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে বসে গান করার রীতিটা নেই। তাই এখন টিমওয়ার্কের মাধ্যমে গান হচ্ছে না। এর ফলে একটি গান সেরকম মানের হচ্ছে না, আর টিকেও থাকছে না। এখানে জোর দিতে হবে। সংগীতে বর্তমানে ইউটিউব ভিউ-এর প্রতিযোগিতা চলছে। এ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী? শহীদ বলেন, এ ভিউ-এর প্রতিযোগিতা বেশি দিন থাকবে না। কারণ ভিউ দিয়ে গানের জনপ্রিয়তা মাপা যায় না। আগে একটি ভালো অডিও হতে হবে, তারপর সেটার প্রচারে ভিডিও হবে। গানের অডিও ভালো না হলে শত ভিডিও করেও লাভ নেই। তাই বলবো কথা, সুর, সংগীত ও গায়কিতে আগে জোর দিতে। আর একটি কথা বলতে চাই। সেটা হলো, ঘরের স্টাফদের (কাজের লোক) অথবা রিকশাচালকের মোবাইলে যদি গান শোনা না যায়, সেটা তিন কোটি ভিউ হয়েও লাভ নেই।